বহিরাগত দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি এবং বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের দুই ছাত্রীকে কলেজ ক্যাম্পাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং শ্লীলতাহানির শিকার ঐ দুই ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে ঘটনার তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি, দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, গভর্নিংবডির সদস্যদের না জানিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান ছাড়াও তার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বোর্ড সভায় সকলের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না দিলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। কলেজের সিনিয়র প্রভাষক প্রণব কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সভাপতি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন বলেন, আমি এই কলেজকে শূন্য থেকে তিলে তিলে গড়ে তুলে এমপিওভুক্ত করে ডিগ্রি কলেজে রূপান্তর করেছি। আমার ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে ও কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে এলাকার একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট অভিযোগ তুলেছে। আমাকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আদালতের আশ্রয় নেব।
অন্যদিকে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এর পরিপ্রক্ষিতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।