ছাপানো পাঠ্যবইয়ের দিন শেষ - দৈনিকশিক্ষা

ছাপানো পাঠ্যবইয়ের দিন শেষ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিশ্বে পাঠ্যপুস্তকের সবচেয়ে বড় প্রকাশক পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেবে। তাদের সব শিক্ষা বিষয়ক জিনিসপত্র এখন থেকে প্রথম কেবল ডিজিটাল ফর্ম্যাটেই পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।

পিয়ার্সন আরও জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ছাপানো পাঠ্যপুস্তক কেবল ধার করতে পারবে। এসব বইয়ের নতুন সংস্করণও আর অতটা ঘন ঘন বেরুবে না।

পিয়ার্সন চাইছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের প্রকাশ করা ই-টেক্সট বুকই বেশি কেনে। এসব ই-টেক্সটবুক সব সময় আপডেট করা হবে।

পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন বলেছেন, তাদের মোট বিক্রির প্রায় অর্ধেকের বেশি আসে ডিজিটাল থেকে। কাজেই তারা সংবাদপত্র, সঙ্গীত বা সম্প্রচার শিল্পের মতো একই পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রীর বেশিরভাগই এখন ডিজিটাল ফর্মেই পাওয়া যাবে।

পিয়ার্সনের মোট আয়ের ২০ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোর্সের পাঠ্যসামগ্রী বিক্রি থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা খরচ বাঁচানোর জন্য নতুন পাঠ্যবই কেনার চেয়ে বরং পুরোনো পাঠ্যবই ধার করছে বেশি।

এটি বন্ধ করার জন্য পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ছাপানো পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ আর বের করবে না। পিয়ার্সন এর আগে তিন বছর অন্তর অন্তর তাদের পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ বের করতো।

জন ফ্যালন বলেন, আমরা হয়তো আরও অনেক বছর ছাপানো টেক্সট বই ব্যবহার করবো, কিন্তু লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ছাপানো বইয়ের ভূমিকা ক্রমেই সীমিত হয়ে আসবে।

"আমরা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমেই নতুন কিছু শিখি। এক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল পরিবেশ কিন্তু অনেক বেশি কার্যকর।"

"ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক ক্রমাগত আপডেট করা যায়, সেখানে ভিডিও দেয়া যায় এবং শিক্ষার্থীরা কেমন করছে তার মূল্যায়নও তাদের দেয়া যায়।"

তবে ডিজিটাল পাঠ্যসামগ্রী যেভাবে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে কিনতে হয়, তার ফলে পাঠ্যপুস্তকের লেখকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা আছে। যেমনটি ঘটেছে মিউজিক স্ট্রীমিং সার্ভিস চালু হওয়ার পর শিল্পীদের ক্ষেত্রে।

তবে পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন এরকম আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, তারা বইয়ের লেখকরা যাতে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো উপার্জন করতে পারেন সেরকম ব্যবস্থা রাখবেন।

তিনি মনে করেন, 'নেটফ্লিক্স এবং স্পটিফাই জেনারেশন' কোনকিছু কিনে নিজের সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী নয়, তারা সবকিছু 'ভাড়া' নিতে চায়।

পিয়ার্সনের ব্যবসায় সংকট চলছিল অনেকদিন ধরে, তাদের বিক্রি এবং মুনাফা কমছিল। সেজন্যে তারা এটিকে ঢেলে সাজানোর এক কষ্টকর প্রক্রিয়া শুরু করে।

পিয়ার্সন পাঠ্যপুস্তক ছাপানো বন্ধ করে দেয়ার এই পরিকল্পনা প্রথম বাস্তবায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ধাপে ধাপে অন্য দেশের বাজারেও তারা একই কাজ করবে।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.023026943206787