ছাড়পত্রের দাবিতে বরগুনার আমতলীতে স্কুল শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করায় ৩৮ শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষোর ফরম পূরণের সুযোগ দেয়নি সরকারী একে হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট না পড়ায় তাদের ইচ্ছা করে ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ এসব শিক্ষার্থীর। তাই বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (টিসি) চাইছেন তারা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি ৩ সেপ্টেম্বর টিসি আবেদনের সময় শেষ হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীকে টিসি দেয়া যচ্ছে না। ছাড়পত্রের দাবিতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আমতলীতে সরকারী একে হাই স্কুলের ৩৮ শিক্ষার্থী সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে দুপুর ১ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য আমতলী সরকারী একে স্কুল থেকে ২১৫ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় ১৭৭ শিক্ষার্থী কৃতকার্য এবং ৩৮ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত কৃতকার্য শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ শেষ হয়। অকৃতকার্য ৩৮ শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিদ্যালয় শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে তারা নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করিয়ে নিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, ৩৮ শিক্ষার্থী ৩ থেকে ৭ বিষয় পর্যন্ত ফেল করেছে। বোর্ডের নিয়ম মতে এ সকল শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা যাবে না। এসব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ না করায় তারা টিসি দাবি করে আসছে। কিন্তু টিসি দেয়ার সময় গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেছে। টিসি না পেয়ে এসব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান, শুভ, সুমন ও মনিরা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়াজ মোর্শ্বেদ, জগদীস, সেকান্দার, আমিনুল ইসলাম, মঞ্জু ও নুরুল ইসলাম স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় তারা আমাদেরকে ইচ্ছা করে ফেল করিয়েছে। তারা আরো জানান, তানিয়া নামের এক শিক্ষার্থী চার বিষয়ে ফেল করেছে অথচ তার ফরম পূরণ হয়েছে। তাহলে আমাদের অপরাধ কি? স্যারদের কাছে যারা প্রাইভেট পড়েছে তাদের পাস করিয়ে ফরম পূরণ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বজলুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমের কাছে টিসির দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কথা স্বীকার করে বলেন, ৩৮ শিক্ষার্থী নির্বচনী পরীক্ষায় ৩ থেকে ৭ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করার বিধান নেই। ফরম পূরণ না করায় ওই শিক্ষার্থীরা টিসি দাবি করছে। কিন্তু টিসি দেয়ার সময় গত ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ায় টিসি দেয়া যাচ্ছে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ সরোয়ার হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বোর্ডের অনুমতি নিয়ে আসলে এসব শিক্ষার্থীর টিসি দেয়া হবে।