সংস্কৃতির মাধ্যমে স্বাধিকারের চেতনার কথা বলা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। দেশের সংস্কৃতিকে বিস্তারের লক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি অর্ধশতাব্দী ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, লোকসঙ্গীতের সঙ্গে নানা আঙ্গিকের নৃত্যের প্রশিক্ষণ চলে বছরজুড়ে। সেই সঙ্গে শিশুদের জন্য আপন সংস্কৃতিবান্ধব শিক্ষা কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে নালন্দা বিদ্যাপীঠের মাধ্যমে। প্রবহমান সেই সাংস্কৃতিক স্রোতধারায় বাঙালী সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার মানসে ছায়ানটের পরিচালনায় শুরু হচ্ছে ‘ভাষা-সংস্কৃতির আলাপ’ শীর্ষক কার্যক্রম। চলমান জ্যৈষ্ঠ শেষে আগামী আষাঢ় মাস থেকে কার্যক্রমের সূচনা হবে। এখন চলছে ভর্তি প্রক্রিয়া।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরুণ-যুবাসহ ভাষা-সংস্কৃতি অনুরাগী বয়স্কজনের মানস-উৎকর্ষচর্চার জন্য সাহিত্য ও শিল্প বিষয়ে চর্চা ও পরস্পর বিনিময়ের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী হচ্ছে ভাষা-সংস্কৃতির আলাপ। এক বছর মেয়াদী কার্যক্রমের চতুর্থ আবর্তন শুরু হবে আষাঢ় মাস থেকে। আলাপের বিভিন্ন দিনের সূত্রধর হিসেবে থাকবেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, মোহাম্মদ আজম, কথাশিল্পী ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ফকরুল আলম, গালিব আহসান খান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, ড. ফওজিয়া মান্নান, মৃত্তিকা সহিতা, ছায়ানট সভাপতি সঙ্গীতজ্ঞ সন্দা খাতুনসহ অনেকে। বৈঠক বসবে ১৪ দিন অন্তর প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায়।
ইতোমধ্যে পঞ্চম আবর্তনে ভর্তির আবেদনপত্র দেয়া শুরু হয়েছে। ধানম-ির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনের অভ্যর্থনা কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে হবে আবেদনপত্র। গত ৫ মে থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রম প্রথম বৈঠকের আগের দিন পর্যন্ত। ভাষা-সংস্কৃতির আলাপ কার্যক্রমের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলার পঞ্জিকার হিসেবে আগামী পনেরোই আষাঢ় এবং ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ জুন। বুধবার ও জাতীয় ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছায়ানটের অভ্যর্থনা কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হবে। আবেদনপত্রের মূল্য ধরা হয়েছে চারশত টাকা। এককালীন ভর্তি বাবদ প্রদান করতে হবে দেড় হাজার টাকা।