জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্রাপুর থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ১৪ ব্যাচের সুব্রত পাল, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৩ ব্যাচের অর্পন শান্ত , দর্শন বিভাগের ১২ ব্যাচের সৈকত এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সুহাদ মজুমদার। এই চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই মামলায় আজ শনিবার বিকালে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১১ ব্যাচের তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে রবিবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ১৪ ব্যাচের সুব্রত পাল তার পরিচিত একটা মেয়েকে মেসে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাদেরকে রুমে আটক করে। এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন মেসের পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৯ম ব্যাচের কাজী ফারহান মহিব (মন্টি) পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সুব্রতকে উদ্ধার করে। কিন্তু সুব্রত মনে করে ফারহান এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়েছে। পরদিন শুক্রবার সুব্রত ও তার কয়েকজন বড় ভাই মিলে ফারহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের নির্মাণাধীন হলের পাঁচ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে ফারহানের কাছে থাকা দুই হাজার এবং বিকাশের মাধ্যমে আরো আট হাজার টাকা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে ফারহানকে ছেড়ে দেয়। পরে ফারহান তাদের নামে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, পুলিশ আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। যদি অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দিয়েছি। তবে এতে যেন কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয়।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সবাইকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে।