ছিন্নমূল মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা - দৈনিকশিক্ষা

ছিন্নমূল মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা

প্রফেসর ড. মো. লোকমান হোসেন |

বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছি অথচ ছিন্নমূল মানুষ দেখিনি কিংবা তাদের কথা শুনিনি, এটা তো হতেই পারে না। দেশের যে কোনো অঞ্চলে এখনো ঘর থেকে বের হলেই গৃহহীন মানুষের দেখা পাওয়া যায়। রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, রেললাইনের দুপাশে, ফুটপাথের দুধারে, ওভারব্রিজের নিচে, গাছের তলায়, বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর, কিংবা শহরের আনাচে-কানাচে খাস জমির ওপর গড়ে ওঠা বস্তিতেই প্রধানত তাদের বসবাস। এদের কেউ কেউ নিছক দারিদ্র্য পীড়িত, তবে বেশিরভাগই নদীভাঙ্গন, বন্যা, খরা ও ঘর-বাড়িতে অগ্নি সংযোগের শিকার। ভিটাবাড়ি ছাড়া হওয়ার পর তারা চারদিকে এলোপাতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ভাসমান জীবন-যাপন শুরু করে, ছেঁড়া কাপড় পরে! এরা প্রধানত পলিথিন দিয়ে তৈরি জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে থাকে এসব সহায়-সম্বলহীনদের কেউ হালকা বিছানা পেতে, কেউবা বিছানা ছাড়াই শুয়ে পড়ে ফুটপাথে, সড়কে বা ব্রিজের নিচে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তারা ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটায়। তাদের শরীরে মেদস্ফীতি দেখা যায় না, বদন মোবারক মলিন হলেও অধিকাংশেরই জীবন তথাকথিত ভদ্রলোকদের চেয়ে কালিমামুক্ত।

জীবনসংগ্রামে তারা আর দশ-পাঁচ জনের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী, তেজস্বী ও সাহসী সৈনিক। তাদের মাঝে সব ধরনের পেশার মানুষ আছে। কেউ ভিক্ষে করে, কেউ জুতো পালিশ করে, কেউ রিকশা চালায়, কেউ রাজমিস্ত্রীর যোগালি হয়, কেউ প্লাস্টিকের বোতল, ছেঁড়া কাগজ, কাঠমিস্ত্রির হেল্পার, স্যান্ডেল ও পলিথিন কুড়ায়, কেউ হাটবাজারে মানুষ জড় করে দাঁতের মাজন বিক্রি করে, কেউ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুল বিক্রি করে, কেউ পথের ধারে বসে নিত্যদিনের প্রয়োজন এমনসব পণ্য বিক্রি করে, কেউ টোকাই হয়, কেউ বা আবার পকেটমার হয়। অনেক নারী বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে দিশেহারা হয়েই একটু সুখের আশায় বা পেটের দায়ে শহরতলিতে প্রিয় সন্তানদের নিয়ে ভিড় জমায়। তারা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে, আয়া-বুয়া হয়, পোশাক-কারখানায় মেশিন চালায়, সেলাই করে, তবু বাঁচার লড়াইয়ে পরাজিত হয় না, হার মানতে চায় না। তাদের মাঝে একটি অংশ অবশ্য নগরে-বন্দরে গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ মাদকব্যবসা ও চোরাচালানি কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। অনেকে ছোট ছোট অপরাধ করে, আবার কেউ কেউ বড় অপরাধগ্যাংয়ের সাথেও গা ভাসিয়ে দেয়। 

আমার আজকের লেখার বিষয় হলো নিচুতলার মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা নিয়ে যারা একসময় ধনী সমাজে জন্ম নিলেও কালের আবর্তে কচুরিপানার মতো ভেসে বেড়ায়। এদের কথা বলতে গেলে সবার আগে মনে পড়ে শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসকারী লোকগুলোর কথা। এদের নিয়ে আমার কিছু জিজ্ঞাসা আগেও ছিল, আজও আছে। ওখানে সাদা-কালো বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষই মিলেমিশে থাকে, কাজ  করে ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে। যে সকল ছিন্নমূল মানুষ ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের একটি জায়গা খুব প্রিয়। মহাসড়ক থেকে এগজিট নেয়ার পর স্থানীয় রাস্তায় মোড় নেয়ার আগেই তারা গাড়ির চালকদের নিশানা করে। এ রকম জায়গা ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কেন এত উপযোগী। এটা আমার মাথায় আসে না। প্রতিটি গাড়ি থামলেই তারা আশা করে জানালার কাচ নামিয়ে গাড়ির চালক কিংবা যাত্রী কেউ তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। আমি প্রথম প্রথম সাহায্য দিতাম, আজকাল আর দেই না, তাদের দিকে ফিরেও তাকাই না, কারণ সবাই বলে, এদের অধিকাংশই নাকি মাদকাসক্ত। কিছু খবর নিয়েও দেখেছি, ঘটনা সত্য। তার মানে এই নয় যে, তাদের মাঝে সাহায্য পাওয়ার দাবিদার কেউ নেই, অবশ্যই  আছে। কিন্তু তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য, বড় সমস্যা হলো, এত নকলের মাঝে আসলটা বাছাই করা কঠিন। 

এত সরকারি বেসরকারি সামাজিক নিরাপত্তাবলয় থাকার পরও এভাবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কেউ ভিক্ষে করার কথা নয়। যারা এ কাজটা করে ‘অভাব’ তাদের আসল কারণ নয়, বরং স্বভাবই তাদের মূল সমস্যা। তাদের ‘স্বভাব’-ই বা এমন কেন? প্রশ্নের উত্তর যাই হোক, এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমি কতটুকুই বা করতে পারি। এ কথাটি বলার জন্যই আজ লিখতে বসেছি। সুপ্রিম কোর্টের সামনে রিকশা থেকে নামামাত্রই আব্দুর রহমান নামে একজন বয়স্ক লোক সামনে এসে হাত পাতলেন এবং বললেন যমুনার ভাঙনে ভিটাবাড়ি হারিয়ে ঢাকায় এসেছেন। কিছু দিন রিকশা চালিয়েছেন এখন শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে তা আর পারেন না। সাত মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফুটপাতে রয়েছেন। একসময় তাঁর বাড়ি-ঘর সবই ছিল আর এখন নিঃস্ব....। কমলাপুর রেলস্টেশনে হাঁটার সময় হাফিজ নামের ৭০ বছর বয়স্ক অসুস্থ এক বৃদ্ধের সঙ্গে কথা হয়। পাঁচ ছেলের জনক তিনি। তবুও খেতে হয় ভিক্ষে করে। দিনে ভিক্ষে করেন আর রাতে শুয়ে থাকেন স্টেশনের প্লাটফর্মে। তিনি বললেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ছেলেসন্তান থেকেও আজ আমাকে খেতে হয় ভিক্ষে করে, কারণ সন্তানদের সুশিক্ষা দিতে পারিনি। শীতের রাতে খুব কষ্ট হয় আর এ বয়সে কি ই বা করতে পারি ....। রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে  ট্রলিতে মাল টানেন মো. মুজিবর। বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। গলির এক চায়ের দোকানে তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বললেন, শীতে পিঠ আর কোমরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় গত দুদিন কাজ করতে পারিনি। স্ত্রী, মেয়ে ও এক নাতিকে নিয়ে শাহজাহানপুর রেল-কলোনিতে থাকি। ঘরের মেঝেতে চট বিছিয়ে থাকতে হয়। ফ্লোরের ঠাণ্ডাতে কোমরের ব্যথাটা বেড়েছে। মেয়েটি মানুষের বাসাবাড়িতে বুয়ার কাজ করে। সেই সংসার চালায়। খড়কুটোয় আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। সঙ্গে থাকা নাতিটি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত, চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ নেই। খানিকটা সাহায্য যদি পেতাম....। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হতে থাকে নগরী। কমতে থাকে পথচারীর সংখ্যা। ধনী লোকগুলো যখন উষ্ণতার  ছোঁয়ায় ঘুমে বিভোর, তখন এ শহরে লাখও ছিন্নমূল মানুষ অপেক্ষায় থাকে কখন শেষ হবে শীতের রাত। দেখা যাবে সকালের সূর্য।

দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিধর ও সম্পদশালী দেশ আমেরিকায়ও গরীব মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা ধনী রাষ্ট্রগুলোতে গরীব লোক নেই। এটা ভুল ধারণা, অলসতা মানুষকে দরিদ্র করে, ধনী দেশগুলোতেও গরীব লোক আছে। তারা খোলা জায়গায়, পার্কে গাছের ছায়ায় শুয়ে-বসে থাকে। কেউ ভিক্ষে চায়। কেউ চায়ও না, কী চায়? আমরা কেমন করেই বা জানব? হয়তোবা তারা নিজেরাও জানে না! আবার কেউ চৌরাস্তার মোড়ে স্টপলাইটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকে, মানুষের কাছে হাত পাতে। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য ইউরোপের একটি দেশে প্রশিক্ষণে গিয়েছিলাম। একদিন বিকেলে প্রশিক্ষণ শেষে বাসায় ফিরছিলাম। বাসার কাছে এসে ছোট রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় চোখ ঘোরাতেই দেখা পেলাম এক ছিন্নমূল পরিবারের। মাঝবয়সী এক জন পুরুষ হাতে একটি হার্ডবোর্ডের কাগজে একটি স্লোগান লিখে দাঁড়িয়ে আছে। সে লিখেছে, Living on Grace!’ ব্যাস, আর কিছু না। সাথে তার পরিবারের আরও তিন জন সদস্য। একজন নারী, সে তার স্ত্রী হতে পারে, হতে পারে মেয়েবন্ধু; আর দুটো কুকুর, একটি ঘন সবুজ ঘাসের গালিচায় গা এলিয়ে দিয়ে আরামের ঘুম ঘুমোচ্ছে, আরেকটি মাটিতে কোমর গেড়ে সামনের দুপায়ের ওপর ভর করে বসে আছে; নড়াচড়া নেই, অস্থিরতা নেই, মুখে ঘেউ ঘেউ আওয়াজও নেই; করুণ নেত্রে পলকহীন দৃষ্টিতে দিনের শেষে ঘরে ফেরা মানুষদের দিকে চেয়ে আছে; কেউ কি তার প্রভুর হাতে একটি টাকা তুলে দেবে? বোধ করি মুখে ভাষা থাকলে সে বলেই ফেলত, দাও না ভাই, একটি টাকা, যা তোমার কাছে কিছুই না, আমাদের কাছে তা-ই তো বাঁচার একমাত্র অবলম্বন!

পরিবারটির ভাসমান সংসারের মালামাল বলতে যা আছে তার পুরোটাই একটি বস্তার মধ্যে সযত্নে ভরে রাখা। লোকটি যখন ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যস্ত, মহিলাটি তখন ঘাসের ওপর বসে সাংসারিক কাজ করছে। সুই-সুতো দিয়ে ছিঁড়ে যাওয়া বস্তাটি সেলাই করছে, সাবধানে অথচ অতি দ্রুততার সাথে, কারণ শেষ বিকেলের হেলে পড়া সূর্য যে কোনো মুহূর্তে দিগন্তরেখায় মিলিয়ে যাবে, আস্তে আস্তে চারদিকে অন্ধকার নেমে আসবে, তার আগে সেলাইয়ের কাজ সেরে ফেলতে হবে। তারপর কী? বোধ করি সেও জানে না, তার সঙ্গীরাও জানে না। জানেন শুধু এক জনই, সেই ‘মহাজন’ যিনি ‘অগতির গতি, অনাথের নাথ’, ‘রাহমাতাল্লিল আলামিন’! যে নারী ঘাসে বসে সেলাই করছে, তার চোখে মুখে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার ছায়া স্পষ্ট ধরা পড়ছে। কিন্তু এটা কী কারণে, তা বলা মুশকিল! হতে পারে এ জন্য যে, রাতে যাবে কোথায়? খাবে কী? থাকবে কোথায়? তার পরেও বা ভাগ্যে কী লেখা আছে? সবই তো অনিশ্চিতের অন্ধকারে নিমজ্জিত! আবার এ-ও হতে পারে যে, দিবসের আলো মিলিয়ে গেলে ব্যাগটি মেরামত হবে না, ছেঁড়া ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে গেলে সংসারের শেষ সম্বলটুকু ফুঁটো দিয়ে একে একে গড়িয়ে পড়বে রাস্তায়। চিন্তাচ্ছন্ন এই ছিন্নমূল মানুষের মুখ এবং কুকুরটির করুণ চাহনি দেখলে শিল্পী জয়নুল কিংবা কামরুল আঁকতে পারতেন চমৎকার মাস্টারপিস! 

এই ছিন্নমূল মানুষগুলো তো আমাদের সমাজেরই অংশ। আমি এই হতভাগা পরিবারের কাছাকাছি ছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর আমার গাড়ির চাকা সামনে ঘুরতে লাগল, ক্লান্ত দেহে গোধূলিবেলায় আবাসের দিকে এগোচ্ছি আর ভাবছি, নিজের খাবার ব্যবস্থা নেই, থাকার জায়গা নেই, ডুবে আছে অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে, অথচ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে কুকুর - তাও আবার একটি নয়,  দুটি! মাত্র ক’দিন আগেই একজন বৃদ্ধ বলেছিলেন, তাঁর ছেলেরা তাঁকে পরিত্যাগ করেছেন। এখন একটি কুকুরই তাঁর সঙ্গী, যেন এটাই তাঁর সন্তান! এ সব কথা গভীর দীর্ঘশ্বাসের সাথে ঘন আবেগমাখা কণ্ঠে বেরিয়ে এল ভদ্রলোকের মুখ থেকে! কী অদ্ভুত মানুষ! কী আজব সমাজ! মূল্যবোধের কী অবক্ষয়! মানুষের পরিণতি তো এমন হওয়ার কথা ছিল না! আরও ভাবছি, ‘Living on Grace!’ বলে ভিক্ষুকটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, সে হয়তোবা মানুষের করুণায় দুমুঠো খাবার পায়, কিন্তু আমরা যারা চাকরি করে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছি, আমরাও তো ‘আরেক জনের’ করুণাতেই বেঁচে আছি! তাই নয় কি? এমনি করে ভাবতে ভাবতে অবচেতন মনে হঠাৎ কড়কড় শব্দে কক্ষের দরজা খুলতেই কক্ষে প্রবেশ করে বিছানায় অবসন্ন শরীরটি এলিয়ে দিলাম আর ভাবতে লাগলাম কীভাবে এই ছিন্নমূল মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারি এবং মানবসন্তান হিসেবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে পারি। 

লেখক : অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, পরিচালক (গবেষণা ও তথ্যায়ন), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003371000289917