কুড়িগ্রামের উলিপুরের হাতিয়ায় ছেলেধরা সন্দেহে আলাউদ্দিন (৫০) নামে এক কাঠুরিয়াকে মারধর করার অভিযোগ এসেছে স্কুল শিক্ষকসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মমিনকে আটক করেছে উলিপুর থানা পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কাঠুরিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুড়িগ্রাম জেলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত কাঠুরিয়া আলাউদ্দিনের বাড়ি উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের ডাড়ারপার উচার ভিটা নামক গ্রামে।
কাঠুরিয়া আলাউদ্দিন দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার সারাদিন গাছ কাটার কাজ শেষে বিকেলে দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার কাঁধে গাছ কাটার করাত এবং মোটা রশি ছিল। হাতিয়া ইউনিয়নের চৌম বাজার সংলগ্ন বিদ্যালয় পল্লী উন্নয়ন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের সামনে আসলে এক ছাত্রী পিছন থেকে তার কাঁধে থাকা করাত ধরে টান দেয়। এতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধমক দিলে শিশুটি স্কুলের ভেতর দৌড়ে প্রবেশ করে। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্কুলে প্রবেশ করলে শিশুটি তাকে দেখে‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে। এসময় স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রায় ৬-৭ জন লোক তাকে আটক করে তারই কাঁধে থাকা গাছ কাটার কাজে ব্যবহৃত রশি দিয়ে বেঁধে পিটানো শুরু করে। তিনি এসময় নিজের পরিচয় দিয়ে বারবার মারতে নিষেধ করলেও কোনও কথা শোনেননি শিক্ষক।
ভুক্তভোগী কাঠুরিয়ার ছেলে আমিনুল অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, বাবাকে ওই এলাকায় সবাই চেনেন। তিনি সবার পরিচিত একজন কাঠুরিয়া তিনি ছেলেধরা হবেন কেন? এটা গুজব ছাড়া কিছু নয়। এরপরও স্কুলের শিক্ষকরা কেনো এমন করে তার বাবাকে পিটিয়েছে সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পল্লী উন্নয়ন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মমিনকে আটক করা হয়েছে। আরও কে কে জড়িত রয়েছে সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।