যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা ও সমিতির সভাপতিকে হুমকির প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছে । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে । অন্যদিকে ছাত্রলীগ তাদের ৫ দফা দাবির প্রতি অনড় রয়েছে। এ অবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে অচল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলায় যারা সরাসরি জড়িত তাদের বহিষ্কার এবং ভিসিসহ সমিতির নেতাদের নামের মামলা প্রত্যাহার ও সমিতির সভাপতিকে হুমকির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা আন্দোলনে আছেন। আগামী রোববারের ভেতর এ সুরাহা না হলে সোমবার পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন বলেন, প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদের অপসারণ, ছাত্রীদের সম্মানহানিকর এন্টি র্যাগিং পোস্টার নামিয়ে ফেলা, ‘বিতর্কিত’ প্রাচ্যসংঘের আয়োজনে কোন অনুষ্ঠান না করা, সেমিস্টার ও ল্যাবরেটরি ফি এবং জরিমানার হার কমানো ও বিনা রশিদে কোন টাকা না নেয়ার বিধান করা- এ ৫ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। আশা করছি আমাদের দাবি পূরণ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যবিপ্রবির ৫ স্থানে র্যাগিং বিরোধী পোস্টার লাগায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতীক একটি নৌকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করে ২টি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন। এ নিয়ে তাকে ডেকেছিলাম একজন ছাত্রী হিসেবে। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন ১২ জানুয়ারি । কিন্তু তাতে হামলা ও মাইক ভেঙে দেয়া হয় এরিনের নেতৃত্বে। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন কর্মসূচি পালন করছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, মানববন্ধনে ছাত্রলীগ হামলা করে মাইক ভাঙে। তারা শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলবে। এখানে কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকরাএসব বলছেন। তিনি বলেন, ভিসি ও ইকবাল কবীর জাহিদ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করেছেন।