ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার ২ হাজার শিক্ষক ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকরা।
শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাদরাসার শিক্ষকরা সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
এ সময় দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহসভাপতি হুসাইন আহম্মেদ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলার সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০১৭ সালে টুঙ্গিপাড়াসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে মোট ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার দাওরা হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান মর্যাদা দেন। ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসায় ২ হাজার ২০ জন শিক্ষককে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা গত ৬ মাস ধরে বেত পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষকরা কারও কাছে হাত পাততে পারছেন না। করোনা পরিস্থিতিতে কোনো সরকারি সাহায্য-সহযোগিতাও পাননি তারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন।
গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মাসউদুল হক বলেন, এ মাদরাসা শিক্ষকরা সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাস না হওয়ায় তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। একনেকে এ সংক্রান্ত নতুন প্রকল্প পাস হলেই তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন।