জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উখিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। মাঠ পর্যায়ে স্কুল তদারকি না থাকায় শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অফিসে অনুপস্থিত করণিকের কারণে শিক্ষা কর্মকর্তাকে কেরানির কাজ করতে বাধ্য হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উখিয়া শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে তিন জন কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও দায়িত্বে রয়েছে দুজন। উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদে পর্যাপ্ত জনবল নেই। অভিযোগ উঠেছে, হিসাব সহকারী পদে সুমন চক্রবর্তী নামের একজন কর্মচারী অফিসে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি অধিকাংশ সময় কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত কর্মচারীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বাবু সুব্রত কুমার ধর।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনবল সংকটের কারণে তাকে স্কুল পরিদর্শন বাদ রেখে শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা হয়ে কেরানির কাজ করতে হচ্ছে। নির্ধারিত কর্মচারীর টানা অনুপস্থিতির কারণে অফিস সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে তাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কর্মচারীর সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রাথমিক শিক্ষক এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী সুমন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫১৩ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে এর মধ্যে ৫৭টি পদে কোনো শিক্ষক নেই। এরই মধ্যে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১০টি সাইক্লোন সেন্টার কাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে এসব স্কুলের নির্মাণ কাজ তদারকি করার মতো পর্যাপ্ত সময়-সুযোগ পাওয়া যায় না বলে ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা জানান।