জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে টাকা না দিলে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর মেলে না। শিক্ষার্থীদের যে কোনো স্বাক্ষর নিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বিভাগের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হয়। এ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের পরিপন্থি।
উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এভাবে টাকা নেয়ার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, বিভাগের শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে যে কোনো বিষয়ে স্বাক্ষর নিতে গেলেই এভাবে টাকা দিতে হয়। শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখ খুলতেন না। গত রোববার ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী শামীম মাহমুদ বিভাগে একটি দরখাস্তের জন্য গেলে তাকে ১০০ টাকা বিভাগের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। গতকাল সোমবার ২০১৩-১৪ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রে বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য গেলে তাকে ৩০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে রূঢ় আচরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নই। সাংবাদিক হলেই তোমাদের সব বলতে হবে না। আমার রুম থেকে বের হয়ে যাও। আমি এই কাগজে স্বাক্ষর করব না। টাকা দিলেও করব না, না দিলেও করব না।’ কোন খাতের জন্য এই টাকা নেয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট আরগু উইথ মি, গেট আইট অব মাই রুম।’
পরে আবু তৈয়ব বিভাগ থেকে বের হয়ে এলে বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সালমান তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকি দেন। সালমান বিভাগের শিক্ষক হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের কাছে লবিং করছেন বলে জানা গেছে।