জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। প্রায় ১৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন। তবে সমাবর্তনের ভেন্যুতে প্রবেশের কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে গ্র্যাজুয়েটদের। বুধবার জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবর্তনে প্রবেশে বিভিন্ন নিয়মাবলী অনুসরণের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সমাবর্তন স্থলে আগতদের আমন্ত্রণপত্রটি সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র আনতে হবে। মোবাইল ফোন, হ্যান্ডব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ছাতা ও পানির বোতল বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।
গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ১নং গেইট দিয়ে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশ করবেন। তাঁদের জন্য সকাল ১০টায় গেইট খোলা হবে এবং তাঁরা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। চ্যালেন্সর শোভাযাত্রা প্যান্ডেলে প্রবেশের সময় থেকে চ্যান্সেলর মঞ্চে আসন গ্রহণ না করা পর্যন্ত অতিথিরাসহ সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সকল অনুগ্রহপূর্বক নিজ নিজ আসনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
চ্যান্সেলর কর্তৃক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণার পর চ্যান্সেলর শোভাযাত্রা সমাবর্তনস্থল ত্যাগ না করা পর্যন্ত সবাই অনুগ্রহপূর্বক নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। এছাড়া সমাবর্তনকে ঘিরে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও বিএনসিসি, রোভার স্কাউটদের প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারনায় ১১ জানুয়ারী পুরান ঢাকায় থাকবে বাড়তি লোকারণ্য। বাড়তি চাপ সামলাতে পুরান ঢাকা এলাকায় ভারি যান চলাচল বন্ধ করতে পারে ট্রফিক পুলিশ।
এদিকে সমাবর্তন স্থলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের চাপ সামলাতে সকাল ৮টা থেকেই ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারবে আগত গ্র্যাজুয়েটরা। বেলা ১১টা ৫৫মিনিটে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এছাড়া সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবন। আর সমাবর্তনের স্থান (ধূপখোলার মাঠ) প্রস্তুত হচ্ছে ইতিহাস গড়ার জন্য। যেখানে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমবেত হবেন ১১ জানুয়ারি।
প্রথম সমাবর্তনকে সামনে রেখে আগ্রহের কমতি নেই বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সাথে মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার।