খুব ছোট বয়সে বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছেন। জীবিকার প্রয়োজনে নানা-নানির কাছে রেখে মাকেও যেতে হয়েছে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। নানা-নানির আশ্রয়ে থেকে দিনমজুরি করে লেড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া জাহাঙ্গীর আলম এবার এসএসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে।
পড়ালেখার পাশাপাশি স্কুল ছুটির দিনে গ্রামেই প্রতিবেশীদের জমিতে দিনমজুরি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছে জাহাঙ্গীর। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চাটমোহর সেন্ট রিটাস হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলার অমৃতকুণ্ডা গ্রামের জাহানারা খাতুনের সন্তান ও জাহের প্রামাণিকের নাতি জাহাঙ্গীর ছোটবেলা থেকেই ছিল মেধাবী।
সে পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ ৫ এবং অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও মায়ের সামান্য উপার্জনের টাকা দিয়ে কীভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে সে চিন্তায় দিশেহারা সে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা থেকেও নেই, মা ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা আমাকে দিত তা দিয়ে আমাদের চলত না। তাই অন্যের জমিতে কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করে পড়াশোনার কাজে ব্যয় করেছি। এখন আমার স্বপ্ন ঢাকার নটর ডেম কলেজে ভর্তি হব। কিন্তু সেখানে পড়তে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। এত টাকা কোথায় পাব? টাকার জন্য হয়ত আমার ইঞ্জিনিয়ার অথবা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না।