বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একটি মাইলফলক। বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শিক্ষার নামে অনৈতিক বাণিজ্য হতো। নতুন ব্যবস্থার কারণে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমবে এবং পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় কম হবে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, আগের ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদাভাবে ফরম কিনতে এবং আলাদাভাবে পরীক্ষা দিতে হতো। এ কারণে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতো এবং তাদের ওপর বাড়তি মানসিক চাপ পড়ত; বহিরাগতরা সুবিধা দেওয়ার নাম করে ফায়দা লুটত। বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করার কারণে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকত।
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো। গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার কারণে অনৈতিক ভর্তি বাণিজ্য ও কোচিং-গাইড বাণিজ্য কিছুটা হলেও বন্ধ হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
লেখক : আবু সাঈদ দেওয়ান সৌরভ, মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ।