সাধারণত অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অন্যের অধীনে থেকে যারা অপরের জন্য কাজ করে, তাদেরকেই চাকর বলা হয়। আর এই কাজ করাকেই চাকরি বলা হয়ে থাকে। একজন শিক্ষক যেমন কারো চাকর নন, তেমনি শিক্ষকতাও কোনো চাকরি হিসেবে গণ্য হতে পারে না। শিক্ষক সমাজ জাতি গঠনের কারিগর অর্থাত্ জাতিকে শিক্ষিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষক হলেন শিক্ষাগুরু ও শিক্ষাদাতা। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, শিক্ষককে যে অর্থ দেওয়া হয় তা বেতন নয় বরং সম্মানী হিসেবেই দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু জাতীয়ভাবেই নয়, পারিবারিক এবং সামাজিক পর্যায়েও শিক্ষককে যথাযথ সম্মান দেখানো উচিত। শিক্ষককে সম্মান না দেখালে শিক্ষকের যতটুকু ক্ষতি হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হবে আমাদের ও আমাদের সন্তানদের।
পৃথিবীতে শিক্ষকতার চেয়ে মহত্ কোনো পেশা নেই। একজন শিক্ষক শিক্ষাদানের মধ্য দিয়ে নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। কাজেই জীবিকার তাগিদে শিক্ষকতা পেশায় এলেও অনেকেই শিক্ষকতাকে জ্ঞানলাভের সুযোগ হিসেবেই নেন। জ্ঞান এমন একটি বিষয়, যা যত বেশি দান করা যাবে—তত বেশি অর্জিত হবে। এজন্যই জ্ঞানার্জনের জন্য শুধু শিক্ষার্থীকেই নয়, শিক্ষককেও সাধনা করতে হয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের শিক্ষকসমাজের একটি অংশ নানাভাবে শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করছেন। এদেরকে চিহ্নিত করে শিক্ষকতা পেশা থেকে অপসারণের দায়িত্ব শিক্ষকসমাজকেই নিতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই—পরিবার, সমাজ এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যই শিক্ষককে সম্মান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শিক্ষককে সম্মান করা মানেই নিজেকে সম্মানিত করা।
লেখক : বিপ্লব বিশ্বাস, গোয়ালচামট, ফরিদপুর