জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে রাজধানীর নয়াপল্টনের নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। কবীর চৌধুরীর জন্ম ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। নোয়াখালী জেলার চাটখিলে উদার ও মুক্তচিন্তার এক পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠেন তিনি। তার ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী, বোন ফেরদৌসী মজুমদার বাংলাদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।
১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে কবীর চৌধুরীকে জাতীয় অধ্যাপক করা হয়। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সমমনাদের নিয়ে গঠন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 'ছয় সঙ্গী', 'প্রাচীন ইংরেজি কাব্যসাহিত্য', 'আধুনিক মার্কিন সাহিত্য', 'শেক্সপিয়র থেকে ডিলান টমাস', 'সাহিত্য কোষ', 'ইউরোপের দশ নাট্যকার', 'সাহিত্য সমালোচনা ও নন্দনতত্ত্ব পরিভাষা', 'শেক্সপিয়র ও তার মানুষেরা', 'অ্যাবসার্ড নাটক', 'পুশকিন ও অন্যান্য', 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব',
'বাঙালি জাতীয়তাবাদ', 'মুক্তবুদ্ধির চর্চা', 'স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়', 'ছোটদের ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস', 'ছবি কথা সুর'।
কবীর চৌধুরী ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক ও ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।