জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ না হতেই এবং ফলাফল দেয়ার আগেই ভর্তি কনফার্ম করতে। প্রায় আগস্ট মাস থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। অথচ একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমারও চাওয়া ছিল যদি পাবলিকে চান্স না পাই তবেই জাতীয়তে ভর্তি হবো; তার আগে নয়। অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন ভর্তি প্রক্রিয়ায় এখন সবার দোটানা অবস্থা। যেহেতু আগে থেকে জানা যায় না পাবলিকে পড়ার সুযোগ হবে কি-না তাই ভর্তি পরীক্ষার্থীর সিংহভাগই আগেভাগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে ভর্তি ব্যয়ও টনক নড়ার মতো। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকারি হলে প্রায় ৫০০০ টাকা এবং বেসরকারি হলে কোনো ঠিক নেই। ১০ হাজারের বেশিও লেগে যায়। শিক্ষার্থীরা পাবলিকে না সুযোগ পেলে আসলে এখানে পড়বে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয়তে ভর্তি হওয়ার পর পাবলিকে চান্স পেলে যদি জাতীয়তে ভর্তি বাতিল করতে চান, আপনি আপনার টাকা ফেরত পাবেন না। এক্ষেত্রে পাবলিকে ভর্তি হতেও বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী কম বা বেশি বেশকিছু টাকার প্রয়োজন পড়ে। আবার জাতীয়তে ভর্তি বাতিলও অনেক ক্ষেত্রে সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়, যার কারণে পাবলিকে ভাইভা দিতে বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজেও বিলম্ব হয় অনেকের। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের জন্য এটা কি আদৌ সম্ভব? এত কষ্ট করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি খরচ জোগানের পাশাপাশি এই হঠাৎ করে পাঁচ বা ১০ হাজার টাকা জোগাড় করা অনেক কষ্টের। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া পরে হোক।
মিতা কলমদার : লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।