জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদকে এমপিওভুক্তির বিরোধিতাকারী আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা। এ দাবি জানিয়ে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। বুধবার (১৭ জুন) সকালে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে অনার্স -মাস্টর্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মতামত চাওয়া হলেও গত ৫ বছরেও তিনি কোনো মতামত বা সুপারিশ করেননি। একই সাথে আগামী সাত দিনের মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করলে সারাদেশের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করবেন বলে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকেরা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষকেরা বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিধিমোতাবেক এনটিআরসিএর সনদপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধিদের তত্বাবধানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেলেও তাদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান থেকে নামমাত্র বেতনে বা বেতনহীন অবস্থায় তারা শিক্ষা সেবা দিয়ে আসছেন। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ৯০ ভাগ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিতে চায় না।
শিক্ষকরা আরও বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ব্যাপারে মতামত চাওয়া হলেও গত ৫ বছরেও তিনি কোনো মতামত বা সুপারিশ করেননি। অন্যদিকে বারবার জনবলে অন্তর্ভুক্তি এবং এমপিও’র বিরোধিতা করেছেন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্রাস প্রোগ্রামের নামে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে। ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার ফি আত্মসাৎ করা, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের প্রাপ্য টাকা বছরের পর বছর শিক্ষকদের না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে রেখে মুনাফা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষকরা।
তারা আরও বলেন, তহবিল থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এবং প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভঙ্গ করা হচ্ছে। তাই, আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। সংশোনাধীন জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করে এমপিও দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক মো. ইউনুস শরীফ। আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভিন্ন কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকরা।