একসঙ্গে নয়, পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হবে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বাকি রয়েছে তা আগামী বাজেটে চেষ্টা করা হবে।
রোববার (১১ মার্চ ) রাজধানীর মহাখালি গাউসুল আযম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, একসঙ্গে এতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে। আর যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বাকি রয়েছে তা আগামী বাজেটে চেষ্টা করা হবে।
কাজী কেরামত আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা যুগোপযোগী করতে তিনি চেষ্টা করছেন। যেসব ক্ষেত্রে জনবল সঙ্কট রয়েছে। সেখানে জনবল কাঠামো খুব দ্রুত করা হবে। বর্তমান সরকার মাদ্রাসার জন্য নতুন নতুন ভবন বানিয়েছে। আরও বেশকিছু অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাও অন্তর্ভূক্ত করা হবে।এতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে। আর কোন শিক্ষিত বেকার থাকবে না। খুব অল্প সংখ্যক ইবতেদায়ী শিক্ষক এখন সামান্য বেতন পাচ্ছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইবতেদায়ীতে বেতনপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য দেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিল্লাল হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফ উল্লাহ, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ড. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।