আসন্ন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। জাতীয়করণের জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন তারা। ঈদুল ফিতরের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস না দেয়ায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (৪ জুন) দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (নজরুল) বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ রবিউল আলম যৌথ বিবৃতিতে বলেন,শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি । তাই আসন্ন বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে। নতুবা বাজেট ঘোষণার পর জাতীয়করণের দাবিতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবন্দ বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সামান্য বেতনভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঈদুল ফিতরের পূর্বে শিক্ষক সমাজের প্রত্যাশা ছিল সরকার সরকারি নিয়মে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস প্রদান করবে। কিন্তু পূর্বের নিয়মে শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস ছাড়করণ করায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে শিক্ষক সমাজের প্রতি আহবান জানান তারা।
যৌথ বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেন,বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মঞ্জুরুল আমীন শেখর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরুজ্জামান, মোঃ ফারুখ খান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির যুগ্মমহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবুল বাশার বাদশা প্রমুখ।