নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে ধুনট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটেছে প্রধান শিক্ষক। বনবিভাগের ছাড়পত্রের পাশাপাশি দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ভবন নির্মাণের নামে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে দুইটি ইউক্যালিপটাস গাছ কর্তন করা হয়েছে। যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় বুধবার সকালে স্থানীয় অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তিনদিন আগে দুইটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা হয়েছে। গাছ দুইটি বিক্রয়কালে স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে কাটা গাছের অংশ বিদ্যালয় মাঠের ভেতর রেখে জনগণ নজরদারি করছে। প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ক্ষতি করে গাছ কর্তন করায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় মাঠে গাছ থাকায় নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করতে না পারলে অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত যাবে। এ কারণে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছগুলো কেটে রাখা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে গাছ কাটতে অফিসিয়াল কোনো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গাছ কাটা হলে ভবন নির্মাণের অর্থ ফেরত যেত। তাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত গাছ কাটতে বলা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি বনজ সম্পদ পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ আইন বিধিমতে গাছ কাটার আগে বনবিভাগ জরিপ করে প্রাথমিক একটা মূল্য নিরূপণের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তর দরপত্র আহ্বান করে। এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই সরকারি গাছ কাটার। তবে এ ধরনের অনিয়ম করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।