কাল শনিবারের মধ্যে জাতীয়করণের দাবি না মানলে পরশু রোববার (২১ জানুয়ারি) থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট শুরু করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দেশের সব বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না পেলে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচির চিন্তাও করছেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠনের নেতা মো: নজরুল ইসলাম রনি শুক্রবার বিকেলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট শুরু করবেন শিক্ষকরা। তালা ঝুলিয়ে সবাই অনশনে অংশ নেবেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৫ম দিনের মতো আমরণ অনশন করেন শিক্ষকরা।
বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার পাশে পাটি বিছিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে বসে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন তারা।
এসব শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম’ এর ব্যানারে এ আন্দোলনের পরিচালিত হচ্ছে। তবে, অনশনে অংশ নেয়া সবাই শিক্ষক নন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্কুলের নাম বলতে পারেননি অথচ মাথায় অনশনের ব্যান্ড বেঁধে প্রেসক্লাবের সামনে বসেছিলেন অনেকেই।
অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন ফোরামের আহ্বায়ক মো. আব্দুল খালেক, উপদেষ্টা মো. আবুল বাশার হাওলাদার, উপদেষ্টা মো. রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা মো. জসিম উদ্দিন, উপদেষ্টা মো. রফিকুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল হাসান সেলিম, জিএম শাওন, মতিউর রহমান দুলাল, মোস্তফা ভূইয়া, আবুল হোসেন মিলন, প্রেস সচিব মো. এনামুল ইসলাম মাসুদ, হারুন-অর-রশীদ, বাবেশিকফো সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদ। এছাড়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন জালাল উদ্দিন, বাবেশিকফোর যুগ্ম মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন খোকন, বাবেশিকফোর যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ, শিক্ষক নেতা আইনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, কামরুল হাসান, রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আলম সর্দার, সোহেলী পারভিন, শাহনাজ পারভীন, সালমা আক্তার, মনিরা পারভীন, সুচিত্রা চৌধুরী, রতন কুমার দেবনাথ।