জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১০টি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মোর্চা শিক্ষক সংগ্রাম কমিটি। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১০ মে ঢাকাসহ সকল জেলায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি, দাবির সমর্থনে ২৫ মে ঢাকাসহ সকল জেলায় শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। এরপর বাজেট ঘোষণার পর পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে শিক্ষকদের এ মোর্চা। এই মোর্চাটি সরকার সমর্থক হিসেবে শিক্ষা মহলে পরিচিত।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির অন্যতম আহবায়ক ও বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক ।
১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারিদের মত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করতের হবে। অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের অনুরূপ দিতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করতে হবে। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনার্স মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানকারী শিক্ষকসহ বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো যুগোপযোগীকরণ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের ৩৫ শতাংশ প্রেষণে নিয়োগ দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক, মো: আজিজুল হক, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নামে অপর এক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আওয়াল সিদ্দিকী, একই নামের আরেক সংগঠের সভাপতি সৈয়দ জুলফিকার আলম চৌধুরী,
শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: ফয়েজ হোসেন, সমিতির অপর সাধারণ সম্পাদক মো: মোহসীন রেজা, সমিতির মহাসচিব ইয়াদ আলী খান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: শহীদ মোল্লা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো: ফখরুদ্দিন জিগার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী আব্দুল লতিফ, এবং যুগ্ম সম্পাদক মো: শাহে আলম, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মো: আফসার উদ্দিন, একই নামে অপর সংগঠনের মহাসচিব মো: সেলিম শাহ, ফেডাশেনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আনসার আলী, সহ-মহাসচিব মো: হুমায়ুন কবীর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবীর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাইফুর রহমান।