জাতীয়করণের একদফা থেকে ১১ দফা কেন? শিক্ষক নেতাদের কাছ কৈফিয়ত চাইলেন আরেক শিক্ষক নেতা। ১০টি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মোর্চা শিক্ষক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে ১১ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে শনিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেষে তেজগাঁও আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আবদুল মান্নান শিক্ষকদের নেতাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি জানতে চান এক দফার আন্দোলন থেকে ১১ দফা কেন? তবে শিক্ষক নেতারা অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়, জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আগামী ১০ মে ঢাকাসহ সকল জেলায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। দাবির সমর্থনে ২৫ মে ঢাকাসহ সকল জেলায় শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। এরপর বাজেট ঘোষণার পর পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে ।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক, মো: আজিজুল হক, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নামে অপর এক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আওয়াল সিদ্দিকী, একই নামের আরেক সংগঠের সভাপতি সৈয়দ জুলফিকার আলম চৌধুরী,
এর আগে শিক্ষক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে গত ১৪ মার্চ জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। শহীদ মিনারের ওই সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার অনুমতি না পেয়ে প্রেস ক্লাবের সামনের দুইধারের রাস্তায় অবস্থান নেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের সমাবেশ থেকে জাতীয়করণের এক দফা দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
ওইদিন বেলা একটার দিকে সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতা আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেছিলেন,স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের কথা হয়েছে । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয়করণের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলেও জানান তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হাজার হাজার শিক্ষকের সামনে এমন ঘোষণা দিলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। এক পর্যায়ে মাইকের নিয়ন্ত্রণ সাধারণ শিক্ষকদের হাতে চলে যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান করার ঘোষণা দেন। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়।