আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ, বিএনপি ও বামপন্থী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে ব্যাঙ্গ ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে প্রচারপত্র বিলি করায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’। শুক্রবার পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী ও সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ জানিয়েছেন, উপাচার্যের উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এক চোখে ছানির অপারেশন করা হয়। ছুটি শেষে উপাচার্য বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচনগুলো দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক। উপাচার্য প্রায় দুই দশকের মেয়াদোত্তীর্ণ সিনেটের রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসন করেছেন। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের হাতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব ছিল তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পদে নির্বাচনের বিষয়টি তাদের অভিধানে ছিলো না। তারা দায়িত্বকে ক্ষমতা মনে করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন মহল তাদের দূরভিসন্ধি ও অপকৌশলের সঙ্গে ভালো করেই পরিচিত। তবে আমরা বিশ্বাস
করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্যান্য মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচনগুলোও উপাচার্য সম্পন্ন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কোন ‘মহৎ’ উদ্দেশ্যে পরস্পর আদর্শিক বৈপরীত্য নিয়ে কি করে শিক্ষকদের কয়েকটি গ্রুপ ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ গঠন করেছেন তার রহস্যও কারো অজানা থাকার কথা নয়। মেয়াদউত্তীর্ণ বিভিন্ন পর্ষদের নির্বাচন দিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ‘গড়িমসির’ যে অভিযোগ করেছে তা অসত্য, অগ্রহণযোগ্য এবং ভিত্তিহীন। এ ধরনের মনগড়া অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
এর আগে ১৪ মার্চ মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষাপর্ষদ ও অর্থ-কমিটির নির্বাচন দিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ এনে বিবৃতি দেয় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ।