জাবিতে অনিয়ম : সচিব হয়ে উঠেছেন আরেক উপাচার্য - দৈনিকশিক্ষা

জাবিতে অনিয়ম : সচিব হয়ে উঠেছেন আরেক উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সচিব মো. ছানোয়ার হোসেন, যার বিরুদ্ধে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তার ক্ষমতার দাপটকে কটাক্ষ করে এরই মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আরেক উপাচার্য’ বলে উল্লেখ করা শুরু করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক না হয়েও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষকদের মতোই প্রভাব খাটাচ্ছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের আস্থাভাজন হওয়ার কারণে নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখায় নিয়োগ বাণিজ্যের পাশাপাশি চাকরি দিয়েছেন নিজের আত্মীয়-স্বজনকে। সম্প্রতি ছানোয়ার হোসেন সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সাড়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে। যেখানে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে জায়গা হয়নি দুজন উপ-উপাচার্যের কারোরই। অথচ বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের কমিটিতে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন ছানোয়ার হোসেন। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সব মহলের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, সমালোচনার মুখে তিনি এখন পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ পর্যন্ত পাঁচ জনের অধিক আত্মীয়কে স্বজনপ্রীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন ছানোয়ার হোসেন। পরিবারের ও নিকটাত্মীয়ের মধ্যে রয়েছেন ছানোয়ারের স্ত্রী তাসলিমা খন্দকারও। যিনি নিয়োগ পেয়েছেন ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের ক্যারিয়ার গাইডেন্স হিসেবে। বোন ইয়াসমিন আক্তার নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের হল অ্যাটেনডেন্স হিসেবে। এরশাদ নামের এক ভাগ্নে জামাইকে চাকরি দিয়েছেন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারে। ভাতিজাকে শহীদ রফিক জব্বার হলে এবং চাচাত ভাই আনোয়ারকে লোক প্রশাসন বিভাগে তিনি চাকরি দিয়েছেন।

এসব ব্যাপারে পাওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, উপাচার্যপন্থি থেকে শুরু করে উপাচার্য বিরোধী সব পক্ষের শিক্ষকই ক্ষুব্ধ ছানোয়ার হোসেনের উপর। শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, টাকার বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগ, ক্যাম্পাসের শিক্ষক রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর মতো অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমার স্বাক্ষরে কারোর চাকরি হওয়ারও কথা নয়। চাকরি দিলে কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। এতে আমার কোনো হাত নেই।’

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052070617675781