জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য খননকৃত মাটি অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র ফেলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রশাসন বলছে, মাটিগুলো পরে সরিয়ে নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে তিনটি ছাত্রী হলের নির্মাণকাজ। হলগুলোর পিলার স্থাপনের জন্য খনন করে তোলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাটি। এসব মাটি পরিকল্পনা ছাড়াই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন নিচু জায়গা ভরাট করে ঝোপঝাড় ও প্রাণীদের আবাসস্থল নষ্ট করা হচ্ছে। সমাজ বিজ্ঞান ভবনের পেছন থেকে প্রীতিলতা হল পর্যন্ত রাস্তার পাশে অনেকটা জায়গা জুড়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু করে মাটি ফেলা হয়েছে।
একই কাজ করা হয়েছে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উত্তরপাশের এলাকায়। এমন আরও ৮ থেকে ১০ জায়গায় ফেলার কারণে ঘন ঝোপঝাড় ও নানা ধরনের গুল্ম ও তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ চাপা পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি, সাপ, গুইসাপ, গিরিগিটি, শিয়ালসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীও হুমকির মুখে পড়েছে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. নাসিরুদ্দিন জানান, দুই উপ-উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটা কাজ করতে গেলে তা একশভাগ পারফেক্ট হয় না। আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই।
প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এ এলাকাগুলোতে অনেক কীটপতঙ্গ, পাখি, প্রাণীর আবাস ছিল। মাটি ভরাট করায় নিঃসন্দেহে এসব জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখে পড়বে। স্বাভাবিক যে ল্যান্ডস্ক্যাপ তা অপ্রয়োজনে পরিবর্তন করাটা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম জানান, সমাজ বিজ্ঞানের পাশের রাস্তায় একটা ফুটওয়ে হবে সেজন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। কিন্তু ফুটওয়ের জন্য যতটুকু জায়গা প্রয়োজন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জায়গা ভরাট করা হচ্ছে কেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো পরে কেটে সমান করা হবে।