জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরির নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনায় কর্মচারীকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে দুই দফা তাকে মারধর করা হয়। হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ওই কর্মচারী মানিকগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত কর্মচারীর নাম নাঈম ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলে কর্মরত। অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এস্টেট শাখার সিনিয়র সুপারভাইজার। এর আগে খায়রুলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিয়ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন নাঈম। পরে টাকা ফেরত চাইলে খায়রুল তাকে মাদকসহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। নাঈম নিরাপত্তা চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। এ ছাড়া থানায় জিডিও করেন।
আহত নাঈম বলেন, বুধবার বিকেলে হলের ডিউটি শেষে ফেরার সময় জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্স মো. খালেক আমাকে আটকায়। এ সময় পেছন থেকে বাইকে করে দু'জন অপরিচিত লোক এসে আমার পকেটে মাদক দেওয়ার চেষ্টা করে। খায়রুলের লোকজন তখন মাদক থাকার সন্দেহে আমাকে মারধর করে। পরে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এলে ওই দু'জন পাশে থেকে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা এনে বলে সেগুলো নাকি আমার কাছে ছিল। পরে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তা আমার কাছ থেকে না পাওয়ায় আমাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য পরে মানিকগঞ্জে নানির বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই। মানিকগঞ্জের নয়া ডিঙ্গি বাসস্ট্যান্ডে নামলে কয়েকজন এসে আমার মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ। এগুলোর কিছুই জানি না। আমি সামনে কর্মচারী সমিতির নির্বাচন করব। তাই আমার বিরোধীরা নাঈমের মাধ্যমে এই ফাঁদ পেতেছে। আর খালেক ওর খালাতো ভাই। খালেক নিজেই পরিচিত একজন মাদক ব্যবসায়ী।