ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের উপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
এতে ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ঘটনার ৯ মাস পর জড়িত ৫ শিক্ষার্থীকে উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তি না দিয়ে শুধু সতর্কবার্তা দিয়েছে জাবি প্রশাসন। জাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। হামলায় জড়িতদের কোন শাস্তি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় হ্যন্ডবল টুর্নামেন্টে গত ১০ এপ্রিল জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ইবি ও জাবির খেলা হয়। এসময় খেলার মাঠে ঢুকে ইবির খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালান জাবির শিক্ষার্থীরা। পরে দলের টিম ম্যানেজার ও শিক্ষকরা আটকাতে গেলে তাদেরকেও আঘাত করেন তারা। এতে ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ত্রীড়া পরিচালক ড. সোহেল সহ ৯ জন খেলোয়াড় আহত হন। এর আগে ইবির খেলোয়াড়দের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকিও দেন জাবি শিক্ষার্থীরা।
খেলোয়াড়দের ওপর হামলার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান ইবি শিক্ষার্থীরা। ঘটনার নয় মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক ঘটনায় জড়িত জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তি না দিয়ে শুধু সতর্কবার্তা দিয়েছে জাবি প্রশাসন। তারা হলেন, রসায়ন বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিন ফজলে রাব্বি, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জামিনুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তামিম আহমেদ। তবে ঘটনায় জড়িতদের উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও খেলোয়াড়রা।
এ বিষয়ে ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোন ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের বহিষ্কার করতেও কুন্ঠাবোধ করত না। কিন্তু জাবির অধ্যাদেশে যদি এত বড় অপরাধের শাস্তি শুধু সতর্ক করাই হয়, তাহলে এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।’