জাবিতে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ - দৈনিকশিক্ষা

জাবিতে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নতুন কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ শুরু করে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে আবারে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নতুন কলা ভবনের সামনে যায়।

আন্দোলনকারীদের দাবি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণ, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় বিচার এবং আবাসিক হল খুলে দেয়া।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তিনি জাবির শহীদ মিনারের স্থপতি। 

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মদদে আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই ফারজানা ইসলামের অপসারণের মধ্যে দিয়েই কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হতে পারে।

সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, কোন ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না।  শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে অবিলম্বে আবাসিক হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হোক।

সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, চারমাস হতে চলল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা করা হয়নি। প্রশাসনের জানা উচিৎ মামলা-হামলা কোনোভাবেই এ যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আগামী তিন ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করারও ঘোষণা দেন অধ্যাপক রায়হান রাইন।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার মুখপাত্র আরমানুল ইসলাম।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037851333618164