জাবিতে পৃথক অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্ত - দৈনিকশিক্ষা

জাবিতে পৃথক অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্ত

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পৃথক অভিযোগে এক শিক্ষককে স্থায়ী এবং আরেকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশন নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক ছুটি না নিয়ে একই সঙ্গে আরেক প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালিন চাকরি করতে পারেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি একবার পদত্যাগপত্র দিয়ে তা আবার প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তবে তার দেওয়া আগের পদত্যাগপত্রই গৃহীত হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মুহাম্মদ আশরাফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির কাছেও আমি বিষয়টি স্বীকার করেছি। তবে বিভাগের কোনো কাজে অবহেলা করে ওই প্রতিষ্ঠানে সময় দেইনি। বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছাও স্বীকার করেন আশরাফুল আলম খুবই মেধাবী এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও বিভাগে তিনি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেননি। তিনি আশরাফুলের চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন উপাচার্যের কাছে।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ- বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলাশয়ে সমুদ্রের নোনা পানি প্রবেশের প্রভাব নিয়ে ২০১২ সালে একটি গবেষণা করে পরমাণু শক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০১৭ সালে ওই গবেষণার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে নতুন একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এসএম দিদারুল ইসলাম। এতে সহগবেষক হিসেবে ছিলেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়াসহ তিনজন। পরমাণু শক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য ভূতত্ত্ববিদ তপন কুমার মজুমদার তাদের বিরুদ্ধে গবেষণাপত্র জালিয়াতির অভিযোগ আনেন। পরে ২০১৭ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট জালিয়াতির সত্যতা পায়।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, আমি আসলে চক্রান্তের শিকার। অনলাইন জার্নালে পেপার জমা দিতে যেহেতু সহগবেষকের সম্মতিপত্র লাগে না, তাই সে (দিদারুল আলম) না জানিয়েই আমার নাম দিয়েছে। আমি বলার পর সে পেপার উঠিয়েও নিয়েছে। এরপর আবার সে অন্য এটি জায়গায় প্রকাশ করে।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033838748931885