জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে সকাল দশটায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এক শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, অফিসার ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হল, শিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এর আগে সকাল নয়টায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন।
বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু: স্মৃতিতে অবিনশ্বর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য নাম। বাঙালি জাতির মনোজগতে বঙ্গবন্ধু চির জাগরুক হয়ে আছেন। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রেজাউল ইসলাম, ছাত্রলীগ জাবি শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।