জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার অভিমুখে প্রভাতফেরি করে শহিদদের সম্মান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রথম প্রহরে উপচার্যের সাথে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, অনুষদ ডীন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রনেতারা শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাব, শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, কর্মচারি সমিতি, কর্মচারি ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব, হল প্রভোস্ট, ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন বিভাগ এবং অন্যান্য সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ।
একুশের ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অফিসার ক্লাব চত্বর থেকে শহিদ মিনার অভিমুখে প্রভাতফেরি করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় সাভারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে অনুষ্ঠিত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আখতার হোসেন, চারুকলা বিভাগের সভাপতি শারমিন জামান ও সভাপতি অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতার শেষে অতিথিরা বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।