জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানাকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে নতুন কমিটির দাবিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির আবাসিক হল (আ ফ ম কামালউদ্দিন) বাদে ছাত্রদের অন্য ৭ হলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান নেন।
অন্যদিকে সভাপতি মো. জুয়েল রানার আবাসিক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে আক্রমণের আশঙ্কা করে তা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি উপাচার্যের বাসভবনে যান।
পরে সেখানে ছাত্রলীগের অন্য ৭টি হলের নেতাকর্মীরা গিয়ে জুয়েল রানাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে উপাচার্যের কাছে দাবি জানান। উপাচার্য তাদেরকে এ বিষয়টির জন্য কয়েকদিন সময় চাইলে নেতাকর্মীরা কোনো সমাধান ছাড়াই ফিরে আসেন।
এরপর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বিদ্রোহী ৭ হলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনিও বিদ্রোহীদের কাছে সংকট সমাধানে সময় চান। কিন্তু বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা তাদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকে।
এদিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা হলে অবস্থান করছেন না বলে জানা গেছে। তবে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জড়ো হয়েছেন অন্য হলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতির হলের পাশে এক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এ নিয়ে সভাপতি ও বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। পরিস্থিতি শান্ত করতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।