একটি গাড়ি, তার ভেতরে গ্রন্থাগারের মতো করে থরে থরে সাজানো বই। আর সব বই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা, সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য বই। স্বাধীনতার মহান স্থপতির নিজের লেখা বইও শোভা পেয়েছে সেখানে। পাঠকের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়াবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী এমন আয়োজন শ্রাবণ প্রকাশনীর।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মেলা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
বইমেলায় সহযোগিতা করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে মহুয়াতলায় বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক। চার দিনব্যাপী এ বইমেলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ১০০ গুরুত্বপূর্ণ বই পাওয়া যাবে এই মেলায়। এ ছাড়া শ্রাবণ প্রকাশনীর বিভিন্ন বই বিক্রি হবে ৪০ শতাংশ ছাড়ে।
উদ্বোধনকালে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এবং তাঁর লেখা বই নিয়ে শ্রাবণ প্রকাশনীর এ ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজনটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত নতুন প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস জানানো হয়েছে। দীর্ঘ বছর সঠিক ইতিহাস জানত না নতুন প্রজন্ম। এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর। আশা করছি, শ্রবাণ প্রকাশনীর এ উদ্যোগের ফলে সে কাজটি আরো সহজ হবে।’
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবিদ আল মামুন বলেন, “অনেক দিন থেকেই ইচ্ছা ছিল বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি কিনব; কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছিল না। আজ সকালে যখন স্কুলের সামনে গাড়িতে বই বিক্রি করছে দেখলাম তখন কাছে গিয়ে দেখি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি আছে। পরে আমার জমানো টাকা দিয়ে আমি বইটি কিনেছি।”
শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, ‘৩১ জুলাই থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এমন মেলার আয়োজন করছি। এই বইমেলা চলবে আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত। সারা দেশের যত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকবে এই বইমেলা। এখন পর্যন্ত এই বইমেলা নিয়ে আমরা আটটি জেলায় ঘুরেছি। ১৭ মার্চের পর থেকে আবার আমরা প্রতিটি জেলায় যাব।’