জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের এক ছাত্রের কাছে ড্রয়িং শিখতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ওই বিভাগে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রী। গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ভবনের দোতলায় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী অভিযুক্ত নাসিম ঐশ্বর্য যৌন হয়রানির দায় স্বীকার করেছে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে দেওয়া এক লিখিত অভিযোগে তার শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযুক্তের সহপাঠীরাও তার বিচার দাবি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগী। আসন্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ড্রয়িং শেখাতে তার এক আত্মীয় নাসিম ঐশ্বর্যকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
ড্রয়িং শিখতে গত ২৯ অক্টোবর ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে যান। ড্রয়িং শেখানোর কথা বলে নাসিম তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর শারীরিক শিক্ষা ভবনের দোতলায় নিয়ে যায় এবং সেখানে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। গায়ে হাত দিলে ওই ছাত্রী এর প্রতিবাদ করেন। তখন অভিযুক্ত নাসিম এটাকেই ড্রয়িং শেখার নিয়ম বলে দাবি করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিম ঐশ্বর্য বলেন, ‘আমি ঘটনার দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি তখন মানসিকভাবে দুর্বল ছিলাম। আমি এর জন্য অনুতপ্ত, লজ্জ্বিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যা করেছি তা কারওর পক্ষেই মানার মতো নয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মোঃ জুলকারনাইন জানিয়েছেন, ‘ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি ওই ছাত্রী চাইলে রাষ্ট্রীয় আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন।’
নাসিমের সহপাঠী জান্নাতুল নাঈম প্রীতি বলেছেন, ‘ঘটনা জানার পর হতভম্ব হয়েছি। প্রক্টর স্যার বলেছেন, এটা অসুস্থ মস্তিষ্কের কাজ। কিন্তু এই অসুস্থতার সুযোগে সে পার পেয়ে যাবে না তো! আমরা চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক’