আবাসিক হলে সিট সংকট নিরসন ও হলগুলোতে মাদকের বিস্তার রোধ ও নির্মূলের উদ্দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বিশেষ অভিযান চালাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অভিযানে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করা সাবেক শিক্ষার্থীদের বের করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৯ মে) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল আলম।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য উপাচার্যের উপস্থিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঈদের পরে হলগুলোতে অভিযান চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ অভিযানে মাদকবিরোধী ডাক দেয়া হবে।
কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রোপাচার্য বলেন, হলে নতুন শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করে। কিন্তু মাস্টার্স শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা হল না ছেড়ে অবৈধভাবে বহুদিন অবস্থান করে। তাই অবৈধভাবে সিট দখলে রাখা শিক্ষার্থীদের বের করে সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
অধ্যাপক আলম আরও বলেন, ছাত্রলীগের পদধারী নেতা হোক আর সাংবাদিক হোক পড়ালেখা শেষ করা সবাইকেই হল ছাড়তে বাধ্য করা হবে।
মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, হলে অবস্থান করে কিছু শিক্ষার্থী মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই ঈদের পরে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ডাক দেয়া হবে। এ ডাকে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাড়া দেয়ার আহবান জানানো হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহে মাদকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারী আটক হয়েছেন।
জানা গেছে, জব্দ হওয়া ওই মাদকের মালিক (ব্যবসায়ী) ছিলেন জাবি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে, ছেলেদের হলগুলোতে পাস করা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের ফলে চরম সিট সংকট দেখা দিয়েছে।