ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দীন দীর্ঘ ৮ বছর জাল সনদে চাকরি করার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন । হেলাল উদ্দিন হেলাই গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২৯ আগস্ট) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে তার সনদটি জাল বলে জানায় এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি হেলাল উদ্দিন ৫ হাজার ১০০ টাকার বেতন-স্কেলে চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের আগে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেন এবং সেখানে জাল নিবন্ধন সনদ জমা দেন। পরে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখে ২০০৭ সালের তৃতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় হেলাল উদ্দীন অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় রোল নম্বর ছিল ১১২০৩১৫৩। পরীক্ষায় শতকারা ৫০ ভাগ নম্বর পেয়ে পাস করেছেন। এছাড়া তিনি এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএড পরীক্ষায় সবগুলোতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় চাকরিতে থাকার পর সম্প্রতি তার নিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেকে এটাকে জাল সনদ বলে সন্দেহ করেন। অবশেষে জেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে তার শিক্ষক নিবন্ধন যাচাই করতে পাঠানো হয়। সেখানে ধরা পড়ে তার ওই সনদপত্রটি জাল।
এ ব্যাপারে শিক্ষক হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি ।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। আমরা সেটি যাচাই-বাছাই করে দেখবো।’চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ন বসু বলেন, ‘একটি চিঠি পেয়েছি। তবে ব্যস্ততার কারণে সেটি পড়তে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসকে ইনডোর্স করা একটি চিঠির কপি পেয়েছি। জাল সনদে চাকরি করার অপরাধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’