বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির উদ্দেশ্যে দেশের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
লক্ষ্য হচ্ছে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জন্য জানা যায়
তবে শুধু প্রস্তুতি নিয়েই ক্ষান্ত থাকে না অনেকে; অর্থের বিনিময়ে মেধাবীদের তালিকায় নিজের নাম দেখার বাসনায় জালিয়াত চক্রের ‘ভর্তি ফাঁদে’ পা দেয়। সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র সক্রিয়ভাবে প্রশ্ন ফাঁস বা ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
জালিয়াত চক্র আগের মতো প্রশ্নপত্র ফাঁস করেই ক্ষান্ত থাকছে না; গর্হিত এ কাজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। জালিয়াতির উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করছে, যা দিয়ে নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ব্যবহার করে জালিয়াতি করা যায়।
শিক্ষার্থীসহ অনেক অবিভাবক সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে জালিয়াতদের পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে দ্বিধা করে না। অথচ যারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হলে কৃর্তপক্ষ ভর্তি বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এবং করছেও।
কাজেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কোনোমতেই জালিয়াতির পন্থা অবলম্বন না করা।
লেখক: মাহমুদুর রহমান মানিক, শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়