কারিগরি অধিদপ্তরের ডিজি ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরির্দশকের আদেশ ও নিয়োগপত্র জাল করে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জালিয়াতির মধ্যেমে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে অধ্যক্ষসহ যাচাই-বাছাইকারী তিন কর্মকর্তাকে আগামী ১৫ জুন তলব করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
কাগজপত্র যাচাইয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তার সাথে তলব করা হয়েছে অধ্যক্ষ পদে এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা তিন সদস্যকেও। তারা হলেন সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের চীফ ইন্সট্রাক্টর (আরএসি) আজিজুল সিকদার, মুন্সীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের বাংলার ইন্সট্রাক্টর শাম্মী আক্তার এবং ময়মনসিংহের গৌরীপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সহকারী কাম টাইপিস্ট খসরু পারভেজ।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) হন অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান। সম্প্রতি তার নিয়োগের কাগজপত্র জাল ও ভুয়া বলে অভিযোগ উঠে। ওই প্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর একজন সহকারী পরিচালক মর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত ডিসেম্বর মাসে কমিটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান এমপিওভুক্তির জন্য পরিচালনা পর্ষদের নিয়োগপত্র, কারিগরি শিক্ষা বের্ডের কলেজ পরিদর্শকের ‘নিয়োগ ও বাছাই কমিটি’ চিঠি, প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চিঠিসহ যেসব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তার সবই জাল ও ভুয়া। এসব কারণে এমপিও কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত জানুয়ারি মাসে তাকে কারণ দশার্নোর নোটিশ করা হয়।
পরবর্তীতে তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আগামী ১৫ জুন অধ্যক্ষ মুজিুবুর রহমান ও তার নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট ৩ কর্মকর্তা সহযোগী আজিজুল সিকদার, শাম্মী আক্তার ও খসরু পারভেজকে অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি এত সুক্ষভাবে করা হয়েছে। যে কেউ অভিযোগ না করলেও তা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল।
জানা গেছে, অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তির পর অবৈধভাবে তথা জালিয়াতির মাধ্যমে তার নিয়োগ হয়েছে বলে ওই কলেজের এক অভিভাবক সদস্য মো. সায়েদুর সরকার লিখিতভাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অভিযোগ করেন। তারপর অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।