ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মহাসমারোহে আজ রোববার ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল ক্যাম্পাস। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম দিবসটির কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। পরে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার সমান বয়সী এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় বহুমূখী সাফল্য অর্জনের অধিকারী হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মান সম্পন্ন গবেষণা এবং উচ্চপদে আসীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। এসময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারীরা।
এদিকে আনন্দ শোভাযাত্রার পর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খানের পরিচালনায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য প্রদর্শনী, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘রঙ্গন মাইম একাডেমি’ পরিবেশিত মূকাভিনয়: হৃদয়ে বাংলাদেশ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং সবশেষে ‘নকশীকাঁথা ব্যান্ডের’ সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে উদযাপন শুরু করে। ১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ।