জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এ মেলার আয়োজন করে। সকাল দশটায় মেলার উদ্বোধন করেন মেলার প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
তিনি বলেন, পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করতে হলে সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। এ কারণে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পরিব্রাজক পাখি নিয়মিতভাবে এখানকার জলাশয়ে আসে। পাখি মেলায় এসে বাচ্চারা নানা প্রজাতির পাখির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এতে পাখির প্রতি মমত্ব এবং সংযোগ বাড়ছে। উপাচার্য তাঁর ভাষণে বিগত শতকের ষাট এবং সত্তর দশকের ঢাকার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই সময়ে ঢাকা সবুজ ছিল। অনেক জলাশয় ছিল। সেখানেও পাখি আসতো। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত। এখন সেই ঢাকা নেই। জলাশয় ভরাট, ইট, পাথর, কংক্রিটের নানাবিধ কাজের মধ্যদিয়ে মানুষ সবুজ প্রকৃতি ও পাখ-পাখালির ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করেছে। এখন সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মডারেটর ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড .ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইসিইউএন বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন, কথা সাহিত্যিক আখতার হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন, পাখিমেলার আহবায়ক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
পাখিমেলায় বিগ বার্ড ২০১৯ সম্মাননা, পাখি বিষয়ক সেরা প্রতিবেদন পুরস্কার প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত পাখিমেলায় ছোটদের পাখি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ, বই-পোস্টার প্রদর্শনী, সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পাখি দেখা, পাখি চেনার প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।