বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশে স্নাতকদের অর্জিত ফলাফল এবং প্রকৃত জ্ঞানে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছ। আগে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম দেখে জ্ঞানের বিচার করা যেতো। সে মোতাবেক তাদেরকে নির্বাচন করা হতো। বর্তমানে অর্জিত গ্রেড পয়েন্টের সাথে প্রকৃত জ্ঞানের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সন্তোষজনক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ছেলেমেয়েরা ব্যর্থ হচ্ছে। এতে সমাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। রোববার (৬ অক্টোবর) ইউজিসিতে আয়োজিত কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইডিপি) অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, শিক্ষকতা দ্রুত অর্থোপার্জন ও ধনী হওয়ার পেশা নয়, এটি জাতি গঠনে একটি মহৎ পেশা। যারা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরকে নৈতিকতা, ত্যাগ এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এটি সহজাত হওয়া উচিত। অর্থোপার্জনের জন্য এ পেশায় না আসাই ভালো। এসময় মেধাবীদেরকে এ পেশায় নিয়োগ দেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।
কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, অযোগ্য ও অদক্ষদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে জাতি কাঙ্খিত ফল ভোগ করতে পারবে না।
অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, দেশের শিক্ষার মান নিয়ে ইউজিসি উদ্বিগ্ন। মানসম্মত শিক্ষা জাতি গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও যোগ্য শিক্ষকের কারণে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষকদেরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারলে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।
সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, সিইডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম মোখলেছুর রহমান এবং বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ড. মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।