৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আগামী জুলাই মাসে প্রকাশিত হতে পারে। সামনের মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ফল প্রকাশ হতে পারে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পিএসসির বক্তব্য, সব ঠিক থাকলে গত মার্চের শেষ দিকে ফলাফল প্রকাশ হতো। কিন্তু এ সময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় অফিসের কার্যক্রম চালেতে পারেনি পিএসসি। তাই ফল ঝুলে গেছে।
পরীক্ষার্থীরা ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বিসিএস সম্পন্ন করতে তাদের প্রায় বছর তিনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, করোনার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে তারা ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল তৈরির কাজ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফলের সাব কমিটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল তৈরিতে কাজ করছে।
ফেব্রুয়ারিতে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। এই বিসিএস থেকে বিভিন্ন ক্যাডারে পদ বাড়াতে চিঠি দেয় জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। পিএসসিকে তখন আবার নতুন করে সব কাজ শুরু করতে হয়। পিএসসি জানায়, ৩৮তম বিসিএসের শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দুজন পরীক্ষক কর্তৃক খাতা মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করে পিএসসি।
মূলত দুজনের মধ্যে নম্বরের হেরফের হলে তৃতীয় পরীক্ষক কর্তৃক খাতা মূল্যায় করেন। এছাড়াও ৩৮তম বিসিএস চলমান অবস্থায় ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের কার্যক্রম সম্পন্ন, অধিক স্বচ্ছতার জন্য ১২ পরীক্ষার্থী নিয়ে ভাইভা বোর্ড গঠন, এসব কারণে এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়েছে।
গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গত বছরের ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে পাস করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন।
৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করার কথা ছিল। তবে এখন এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এতে এই বিসিএসে মোট পদের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ১৬০ জন। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন।