আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ বোর্ড থেকে জেএসসি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। খাতা চ্যালেঞ্জ করে ৯৬৭ জন জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। ফল পুননিরীক্ষণের পর জেএসসির ৯২৭ জন আর জেডিসির ৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ৮০৯ জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থী। ফেল করা ৬৩৯জন জেএসসি পরীক্ষার্থী ও ১৭০ জন জেডিসি পরীক্ষার্থী ফল পুননিরীক্ষার পর পাস করেছে।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সারাদেশে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৮ ভাগ এবং জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৭৭ ভাগ। জেএসসিতে ৭৬ হাজার ৭৪৭জন এবং জেডিসিতে ১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাস করেছে ফেল করা ১৯০ জন পরীক্ষার্থী। আর ফল পুনঃনিরীক্ষণে ফেল করা দুই শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। ঢাকা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষার্থী ৫৪ হাজার ৬২৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে জেএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন।
জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ৪৩ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর পাস করেছে ফেল করা ৪ জন পরীক্ষার্থী। বোর্ডের ৩ হাজার ৮ জন জেএসসি পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ১৫৬ টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন।
জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ৫৫ জন পরীক্ষার্থী। আর পাস করেছে ফেল করা ৪২ জন পরীক্ষার্থী। ফেল করা একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডের ১১ হাজার ২৪ জন পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৫৮৭টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে জেএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস করেছে ৫৪ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১১৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ফল পরিবর্তন হয়েছে আরও ২০৬ জন শিক্ষার্থীর। ৭ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী জেএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে ৯ হাজার ৩৭৫টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে পাস করেছে ফেল করা ১০২ জন পরীক্ষার্থী। আর ১১৮ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে ৯২ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাস করেছে ফেল করা ৯৭ জন।
জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে যশোর বোর্ডের ৫৯ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাস করেছে ফেল করা ৬১ পরীক্ষার্থী।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাস করেছে ফেল করা ২৮ জন পরীক্ষার্থী।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে ৮৩ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাস করেছে ফেল করা ৬১ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মত এ বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এদিকে জেডিসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে নতুন করে ৪০ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ফেল করা ১৭০ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। আর জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ১০৬ জন পরীক্ষার্থীর। ফল চ্যালেঞ্জ করেন ৭ হাজার ২৯ জন আবেদনকারী। তারা মোট ১০ হাজার ৪৫টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে মোট ৩১৬ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি পরীক্ষা এবং ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। এদের মধ্যে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন ও জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। সারাদেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২ পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।