প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা সবাই আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো। ছাত্রজীবন কতই না সুন্দর হতো যদি না থাকতো পরীক্ষা। পরীক্ষার নাম শুনলে সবারই কম বেশি হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কিন্তু এই ভয়কে তোমাদের জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সামনে তোমাদের ছাত্র জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আমার কিছু পরামর্শ তোমাদের জন্য। ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য তোমাকে অবশ্যই যে কাজটি করতে হবে তা হলো রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করা। যে বিষয়গুলো তোমার কাছে কঠিন মনে হয় যেমন ইংরেজি এবং গণিত সেই বিষয়গুলো রুটিনে তুমি প্রাধান্য দিতো পারো।
সময় অপচয় করা যাবে না এই মুহূর্তে। তোমার জন্য প্রতিটি দিন এখন গুরুত্বপূর্ণ। রাত জাগার অভ্যাস যদি থাকে তবে এখনই তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কোনোভাবেই রাত জেগে সময় নষ্ট করা যাবে না। তা ছাড়া রাত জাগলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। তা ছাড়া অতিরিক্ত চাপ নেয়া যাবে না এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রতিটি পাঠ্যবই লাইন বাই লাইন কালার পেন দিয়ে দাগিয়ে পড়বে, তাহলে পরীক্ষার আগে রিভিশন দিতে অনেক সহজ হবে এবং সময়ও কম লাগবে। এই মুহূর্তে তোমাদের করণীয় হচ্ছে অযথা কোচিং প্রাইভেটে সময় নষ্ট না করে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করা। কারণ অনেক সময় দেখা যায়- কোচিং, প্রাইভেটে দৌড়ে বাসায় পড়ার মতো সময় পাওয়া যায় না।
পরীক্ষার আগের রাতের জন্য কোনো পড়া জমিয়ে রাখবে না। আর নতুন কিছুও পড়বে না পরীক্ষার আগের দিন রাতে। যেগুলো পড়া আছে সেগুলোই বার বার পড়বে৷
পরীক্ষায় ভালো কিছু করার জন্য তোমাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। মনোবল থাকতে হবে দৃঢ়। ভালো ফলাফলের জন্য তোমাকে অবশ্যই নৈর্ব্যত্তিক অংশে ভালো করতে হবে। তাই এ অংশের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নৈর্ব্যত্তিক অংশ পড়ার জন্য তোমাকে মেইন বইয়ের লাইন বাই লাইন পড়তে হবে। এটা পড়া থাকলে সৃজনশীল ‘ক’ এর প্রশ্নের উত্তর তুমি দিতে পারবে।
তোমাদের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই তোমাকে যাচাই করতে হবে। আর নিজেকে যাচাই করার জন্য তুমি মডেল টেস্টের প্রশ্নগুলো নিয়ে বাসায় বসে পরীক্ষা দিতে পারো। তাহলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
পরিশেষে তোমাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভালো ফলাফল অর্জন করে পিতা মাতা এবং প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করো এই প্রত্যাশা রইল।
লেখক: শিক্ষক।