বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের শতকরা আশি ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। একজন কৃষক রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের জন্য খাবার তৈরি করে। অন্যদিকে একজন গৃহিনী পরম যত্নে সংসার চালায়।
এবার আসি আসল কথায়, জেএসসি পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের জীবনে একটি বড় অধ্যায়। এ সময় জীবন গঠনের সময়, জানার সময়। অথচ নীতিনির্ধারকগণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন যে জেএসসি পরীক্ষায় কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় দুটি বাদ দেওয়া হবে। বিষয় দুটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে। এটি কোন যুক্তিতে বাদ দেওয়া হচ্ছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যে কৃষি মিশে আছে আমাদের রক্তে, যে মাটি আমাদের গায়ে লেগে আছে, সে বিষয় বাদ দেওয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। প্রতিনিয়ত বিষয় পরিবর্তন, নম্বর কমানো, মানবণ্টন পরিবর্তনের কারণে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা দিশেহারা। এক দেশে এমন নীতি কেন? কেন বারবার নিয়ম পরিবর্তন করা হয়? জানি আমার প্রশ্নগুলো হয়তো শ্রদ্ধেয় ও জ্ঞানী শিক্ষাবিদ স্যারদের নজরে হয়তো আসবে না। কিন্তু যদি নজরে আসে তাহলে বিষয় দুটি বাদ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
সম্প্রতি শুনতে পেলাম ,শিক্ষা জেএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ তুলে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তটি সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত। এমসিকিউ তুলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি তুলে দেওয়া হলে নতুন মানবণ্টনে অসুবিধা হবে। কয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে মিটিং আহ্বান করা হচ্ছে। মিটিংটি ফলপ্রসূ হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সঠিক নিয়মে শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর থাকলে দেশ পাবে সঠিক নেতৃত্ব ও সুন্দর আগামী প্রজন্ম। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কৃষি ও গার্হস্থ্য বিষয় দুটির বাহিরে রাখা যাবে না। এ বিষয় দুটি জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অতীব জরুরী। তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জেএসসি পরীক্ষায় কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় দুটি যেন বাদ না পড়ে।
লেখক : সহকারী শিক্ষক( ইংরেজি) মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]