পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জেডিসির প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ৬ শিক্ষার্থী, কেন্দ্র সচিব ও সুপার সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ভান্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জানান, ১৬ নভেম্বর শনিবার উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের বোথলায় অবস্থিত বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভান্ডারিয়া ২-এ জেডিসি পরিক্ষার শেষ দিনের ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে প্রক্সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের অপরাধে মমিনুল (১৪) , বায়োজিদ (১৪), মুনিয়া (১৬), রুমি (১৫), নুপুর (১৭), সোনিয়া (১৫) কে থানা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়। এ সময় এ সকল পরিক্ষার্থীদের অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগিতার অপরাধে বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও ঐ মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আমির হোসেন ও হরিনপালা সিদ্দিকিয়া নেছারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করা হয়।
এ ব্যপারে কেন্দ্র পরিদর্শক ,উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ এমাদুল হক বাদী হয়ে ঐ দিন রাতে বিপিএম দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওঃ আমির হোসেন, হরিনপালা সিদ্দিকিয়া নেছারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও পশ্চিম গোলবুনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ১০ শিক্ষার্থী এবং ৪ অভিভাবক সহ ১৭ জনকে আসামী করে ১৯৮৩ সালের পরীক্ষা আইনের ৩ ও ১৩ ধারায় ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ভান্ডারিয়া ০৮, ১৬-১১-১৯।
আটক আসামীদের রবিবার সকালে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে বলে ভান্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জানান। উল্লেখ্য উক্ত বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভান্ডারিয়া-২ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ভুল ও অসত্য তথ্য প্রদান করে কেন্দ্রটি স্থাপন করা হলে এ নিয়ে সে সময়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া এ কেন্দ্রে বিগত দিনে পরীক্ষার সময় বিষয় ভিত্তিক সেট কোড ভরাটে অনিয়ম নিয়েও একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে আবারও এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটল।