জেডিসির ১০ হাজার খাতা চ্যালেঞ্জ - দৈনিকশিক্ষা

জেডিসির ১০ হাজার খাতা চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল চ্যালেঞ্জ করে ১০ হাজার ৪৫টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছে শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৮২ জন পরীক্ষার্থী। এবছর জেডিসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৩ জন শিক্ষার্থী। এবার পাসের হার ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, চলতি বছরে ময়মনসিংহ বোর্ড ছাড়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৩টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর যা ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৭০৫টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা ১০ হাজার ৪৫টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন। এরমধ্যে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ে ৭৭৯টি, আরবি ১ হাজার ১৫০টি, বাংলায় ৭৭৭টি, ইংরেজিতে ১ হাজার ৮২২টি, গণিতে ১ হাজার ৪৮০টি, বিজ্ঞানে ৯৪৬টি, আইসিটিতে ৩৮১টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৯৮০টি, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ে ৩০৩টি আবেদন জমা পড়েছে।

এদিকে শিক্ষা বোর্ড সূত্রগুলো দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ঢাকা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষার্থী ৫৪ হাজার ৬২৯টি বিষয়ের ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছে। এ বোর্ডে ১৬ হাজারের বেশি ইংরেজি বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর ঢাকা বোর্ডে ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিল।
 
রাজশাহী বোর্ডে এ বছর আবেদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর চার হাজার ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী আট হাজার ৯০২টি আবেদন করেছিল। এবার এ বোর্ডে নয় হাজার ৩৭৫ জন পরীক্ষার্থী সাত হাজার ৮৬৫টি আবেদন করেছে। এরমধ্যে ইংরেজি বিষয়ে ২ হাজার ২২৭টি, গণিতে ২ হাজার ২৪৭টি, বাংলায় ১ হাজার ২৫২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ৩৪১টি, বিজ্ঞানে ১ হাজার ১৩০টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১ হাজার ৬১৮টি ও ধর্মে (ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) ৫১০টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে ১১ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী মোট ১৪ হাজার ৫৮৭টি আবেদন করেছে। এরমধ্যে ইংরেজিতে ২ হাজার ৯৪৯টি, গণিতে ৩ হাজার ৯০৫টি, বাংলায় ৫৪৪টি। গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ডে ১০ হাজার ৫৩১ পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিল।

কুমিল্লা বোর্ডে এবার আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর এ বোর্ডে ১২ হাজার ১৮৮ পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলেও এবার ৯ হাজার ৮৩৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৫৯০টি আবেদন করেছে। এরমধ্যে ইংরেজিতে ৩ হাজার ৬৪টি, বাংলায় ১ হাজার ৮৮২টি, গণিতে ১ হাজার ৮৬৪টি, ধর্মে ৯০৬টি, বিজ্ঞানে ২ হাজার ৪৫টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ২ হাজার ২৬৮টি, আইসিটিতে ৮১৮টি আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সিলেট বোর্ডে এ বছর আবেদনের সংখ্যা কমেছে। এ বছর বিভিন্ন বিষয়ে ৪ হাজার ২৬০টি আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে বাংলায় ৯০৭টি, ইংরেজিতে ৭৮৮টি, গণিতে ৬৮২টি, ধর্মে ২৬৩টি, বিজ্ঞানে ৮২০টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৬২১টি, আইসিটিতে ১৭৮টি আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। সিলেট বোর্ডে গত বছর ছয় হাজার ৪৭৬টি আবেদন জমা পড়েছিল।

দিনাজপুর বোর্ডে ৮ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী মোট ১০ হাজার ১১১টি আবেদন করেছে। এরমধ্যে গণিতে ২ হাজার ৮০৬টি, ইংরেজিতে ১ হাজার ৯৭১টি, বাংলায় ১ হাজার ১৬১টি, বিজ্ঞানে ১০১১টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ২ হাজার ১৩টি, আইসিটিতে ২৯৯টি ও ধর্মে ৭৪৯টি। বরিশাল বোর্ডে ৩০০৮ জন পরীক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ের ফল চ্যালেঞ্জ করে মোট ৪ হাজার ২৬০টি আবেদন করেছে। এরমধ্যে গণিত বিষয়ে ৬৭৪টি, ইংরেজিতে ৭৫০টি, বাংলায় ৩৬২টি, বিজ্ঞানে ৮৪৭টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৭৭২টি, আইসিটিতে ৩৬২টি ও ধর্মে ৩৯০টি আবেদন করেছে। এ বছর পাসের হারে শীর্ষে থাকা বরিশাল বোর্ডে গত বছরের চেয়ে আবেদনের সংখ্যা কমেছে। গত বছর ৬ হাজার ২১৪টি আবেদন জমা পড়েছিল।

শিক্ষা বোর্ডগুলো সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, পুনঃনিরীক্ষণে সাধারণত চারটি বিষয় দেখা হয়। এগুলো হলো-উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা। এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়া হয়। তার মানে কোনো শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন হয় না। পুনঃনিরীক্ষণে যেসব ফল পরিবর্তন হয় তা মূলত; পরীক্ষকদের ভুলের কারণে। দেখা গেছে একজন পরীক্ষার্থী ৮২ নম্বর পেয়েছে সেটাকে পরীক্ষক ওএমআর শিটে ২৮ পূরণ করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ফেল করে।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059230327606201