নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর (০১৭১৮১৫৮৬৩৭) ক্লোন করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবি করেছে। এ তথ্য জানার পর রাতেই সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৫ আগস্ট) অজ্ঞাতনামা কেউ উক্ত নম্বরটি ক্লোন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সরঞ্জমাদি দেয়ার নাম করে বিকাশ নম্বরে (০১৭০৫৮১৮২৫৮ ও ০১৭৫০৮১৮২৫৮) টাকা পাঠাতে বলে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়- ‘এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার বিষয়টি আমাকে (জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম) অবগত করেন। তিনি (ডোমার উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার) বলেন, আপনার নম্বর ক্লোন করে আমার কাছে ডোমার উপজেলার আলিম মাদরাসার প্রধানদেরকে আপনার নম্বরে ফোন দিতে বলেন।’
বিষয়টি ডোমার উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান। ডিমলা বি.এম.আই কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরকেও তার প্রতিষ্ঠানে কিছু সরঞ্জাদি দেয়া হবে, সে জন্য কিছু খরচ লাগবে বলে টাকা দাবি করে।
ডিমলা বিএমআই কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর কাদের বলেন, ‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্যারের নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয়- আপনার প্রতিষ্ঠানে কিছু সরঞ্জমাদি দেয়া হবে এজন্য কিছু খরচ লাগবে।
ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামও বলেন, ‘আমার নম্বরেও ফোন এসেছিল। তবে ফোন সাইলেন্ট থাকায় আমি সে সময় ধরতে পারিনি।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি প্রতারক চক্র আমার ব্যবহৃত ফোন নম্বর ক্লোন করে সরঞ্জামাদি দিব বলিয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে যে অর্থ দাবি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। এ ছাড়াও আমি সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ ধরনের মিথ্যা অপ-প্রচার থেকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’